ঢাকা , বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ , ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জমে উঠেছে মসলার বাজার

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৭-০৫-২০২৫ ১১:৩৩:০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৭-০৫-২০২৫ ১১:৩৩:০৪ পূর্বাহ্ন
জমে উঠেছে মসলার বাজার ফাইল ছবি
মাত্র দেড় সপ্তাহ পর পবিত্র ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদ। ঈদকে ঘিরে জমে উঠেছে দিনাজপুরের হিলি বন্দরের মসলা বাজারে বেচাবিক্রি। তবে এবারের মসলা বাজারের চিত্র আলাদা। কমেছে সব ধরনের সাদা এলাচের দাম। প্রকার ভেদে কমেছে কেজিতে ৪০০ টাকা। আর জিরার দাম কমেছে কেজিতে ৫০ টাকা। ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধির কারণে দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর ভালো মানের মসলা কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হিলিতে ছুটছেন ক্রেতারা। 

হিলি মসলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে সাদা এলাচের দাম কেজিতে ৪০০ টাকা কমে প্রকার ভেদে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়। কালো এলাচ ২০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজিতে। দারুচিনি ৪২০ থেকে ৫৬০ কেজি, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা ও গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকা কমে জিরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০ কেজি দরে। ঈদকে সামনে রেখে কম দামে মসলা কিনতে পেরে খুশি সাধারণ ক্রেতারাও। 

মসলা কিনতে আসা রেজাউল করিম বলেন, “আমার বাড়ি রাজশাহীতে। সামনে কোরবানির ঈদ। ঈদ বাসায় অনেক মসলার প্রয়োজন হয়। হিলি বাজারে মসলার দাম অনেকটা কম। জিরা, এলাচসহ দারুচিনি কিনলাম।”বগুড়া থেকে আসা আব্দুল খালেক বলেন, “সামনে ঈদ, তাই হিলি বাজারে আসছি মসলা কিনতে। কিছুদিন আগেও আসছিলাম। তখন জিরাসহ সব মসলার দাম অনেকটা বেশি ছিল। আজ দেখি জিরার দাম কমে গেছে। তাই দুই কেজি কিনলাম।” ক্রেতা আকাশ রহমান বলেন, “প্রতিবছর- বিশেষ করে কোরবানির ঈদে সব মসলার দাম অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু এবার দাম কমে গেছে। কম দামে কিনতে পেরে খুশি হলাম।”

হিলি বাজারে মসলা ব্যবসায়ী সিফাত রহমান বলেন, “আমাদের হিলির মসলার মার্কেটে দেশের বিভিন্ন স্থান- রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, রাজশাহী এমনকি ঢাকা থেকে ক্রেতারা আসেন মসলা কিনতে। বিশেষ করে ঈদের সময় ক্রেতারা মসলা বেশি কিনতে আসেন।” হিলি বিসমিল্লাহ মসলা ঘরের মালিক শাওন বলেন, “এক থেকে দেড় সপ্তাহ ধরে জিরাসহ প্রায় মসলার দাম কমে গেছে। হিলি বন্দর দিয়ে জিরাসহ সব মসলার আমদানি বেড়েছে, যে কারণে দামও কমে গেছে। ঈদ উপলক্ষে বেচাবিক্রি মোটামুটি শুরু হয়েছে। ঈদের আগমুহূর্তে বেচাবিক্রি আরও বাড়বে।”

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, “ভারত থেকে এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক আছে। বিশেষ করে মসলা জাতীয় পণ্য এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ ও জিরা। এসব পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। এই বন্দরে জিরার আমদানি পর্যাপ্ত হচ্ছে এবং দেশের বাজারে দামও অনেকটা কমে গেছে। আশা করছি আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আগামীতে আরও কমবে দাম।”

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন



প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ